নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের অমৃতপুর গ্রামের মৃত-আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ছেলে মোকাব্বের হোসেন। তিনি পেশায় একজন কৃষক ও ছোট ব্যবসায়ী। স্ত্রীর চাকরির সুবাদে মাঝে মধ্যে বগুড়ায় যান তিনি। মোকাব্বের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট বিবেকের তাড়নায় রাজপথে বের হই।
তাছাড়া আমি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। ওদিন দুপুরে বগুড়া মাটিডালী মোড়ে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে সাধারণ মানুষদের মারছিলো। এমন ঘটনা দেখে আমি অন্য বিক্ষুদ্ধ সাধারণ মানুষদের সঙ্গে যোগ দিয়ে পুলিশদের ঘেরাও করার চেস্টা করি। তখন পুলিশ পালাতে গিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়ে। এই সময় প্রায় ৫০টিরও বেশি রাবার বুলেট আমার শরীরে প্রবেশ করে।
এমতাবস্থায় ২/৩ জন আমাকে উদ্ধার করে পাশের হাসপাতালে নিলে সেখানে কোন চিকিৎসক না থাকায় পরে অন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে ও চিকিৎসা প্রদান না করলে বাসায় একজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর সহায়তায় অর্ধেক গুলি শরীরের ভিতর থেকে বের করতে পারলেও শরীরের অনেক গভীরে থাকা গুলিগুলো এখনোও পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়নি।
১মাস ধরে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি এখনো ঠিকমত চলাফেরা করতে পারিনা তবে আমার আক্ষেপ অন্য দল বা আমি যে দল করি, (বিএনপি) এখন পর্যন্ত দলের একজন লোক ও আমাকে দেখতে এলোনা বা আমার কোন খোঁজ খবর নিল না তাহলে মানুষ কিভাবে দলে কাজ করবে।
মেডিকেল শিক্ষার্থী সিয়াম হোসেন বলেন, যতটুকু সম্ভব গুলিগুলো বের করার চেষ্টা করেছি, এখন একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার দ্বারা শরীরে থাকা বাকি গুলিগুলো বের করতে হবে।
এদিকে তার স্ত্রী হোমায়রা বলেন, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা ব্যয় চালাতে পারলেও বর্তমানে চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। যদি সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতা কিংবা উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে ধীরে ধীরে চিকিৎসার অভাবে আমার স্বামী পঙ্গুত্ব বরণ করবে।
টিএইচ